Satyajit Ray- The Genius

গঙ্গাটিকুরিতে এক রাত্রি || Bengali Short Story ||

                      


চায়ের পেয়ালায় এক চুমুক দিয়ে শরীরটা আরামকেদারায় যতোটা সম্ভব অ্যাডজাস্টেবল্ করে বামদিকের দেওয়ালে তাকঘড়িটার নিচে রাখা ক্যালেন্ডারটার দিকে একনজর দিয়ে আবার খবরের কাগজে মনোনিবেশ  করলো, রতন। প্রতিবছর একদিন করে হলেও কোলকাতার চেনা ছন্দের বাইরে কথাও ঘুরে আসে সে। আসলে একঘেয়ামি জীবন আর কারই বা ভালো লাগে। প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করার দরুন পুজোর ছুটিটা পায়না বদলে খ্রিষ্টমাস থেকে বর্ষবরনের টানা একসপ্তাহের ছুটি পায়। আর এই ফাঁকেই রতন ঘুরতে বেরিয়ে যায়।

স্বল্প মাইনেতে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া ওর হয়ে ওঠেনি। তবে তাতে আফসোস কোনোদিন করেনি সে। কারন পশ্চিমবঙ্গের হাজারদুয়ারির ইতিহাস যেমন ওর কাছে লালকেল্লার থেকেও অনেক রোমহর্ষকর ঠিক তেমনি বিষ্ণুপুর, মায়াপুরের আধ্যাত্মিকতা ওর মতে ‘ Gods Own Country’ কেরালাকেও হার মানায়। ওর কাছে দার্জিলিং কাশ্মীরের সমতুল্য। তবে ওর মুখে হামেশাই যেটা শোনা যায় তা হোল,‘ব্রাজিলে যদি আমাজন থাকে তাহলে ভারতে আছে সুন্দরবন এবং সেটাও আবার পশ্চিমবঙ্গেই….বিকট অট্টহাসি”    

কিন্ত এবছর ও কোথায় ঘুরতে যাবে সেটা ঠিক করতেই পারল না। সব নামজাদা জায়গাই ওর ঘোরা হয়ে গেছে। এমনকি এমন এমন কিছু জায়গায় গেছে যার নাম হয়ত কেউই শোনেনি। এই তো আগের বছরই ও ঘুরে এলো পূর্ব মেদিনিপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে, গ্রামটার নাম ছিল কাঠরঙ্কা। সে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা, সে গপ্পো নাহয় পরে হবে ক্ষণ। এখন প্রশ্ন হোল এবছর বাবু যাবেন কোথায় ?

এরম একটা গভীর চিন্তায় যখন রতন মগ্ন, তখন হটাৎ ওর সেল ফোনটা বেজে উঠতেই একটু নড়েচড়ে বসল। একটু বিরক্তি নিয়েই ফোনটা ধরে বলল, ‘হ্যালো !! কে বলছেন ?
‘ আমি হৃষীকেশ, ওপাশ থেকে জবাব এলো।
‘কে ? কে হৃষীকে…’ এটুকু বলেই থেমে গেল রতন, যেন এই নামে চেনা কারোর কথা মনে পড়ে গেল। নিজেকে সামলে নিয়ে আবার বলল, ‘ আরে !! রিক তুমি !! কেমন আছ্ ভাই ?
‘ চিনতে এত সময় লাগলো বেটা ! ভালো আছি। তুমি কেমন আছ্ ? কোথায় আছ্ এখন ?
‘ আমিও ভালো আছি, এখন আমি কলকাতায় থাকি। কতদিন পর আবার কথা হচ্ছে আমাদের...
‘ হ্যাঁ... সেই… শেষ দেখা কলেজের Convocation এ…’
‘ তা একবার এসো না আমার কাছে… দুবন্ধুু মিলে আবার সেই আগের মত একটু আড্ডা দেওয়া যাবে...’ উৎসাহিত রতন বলে চলল, ‘আমার কোলকাতার এই  1BHK এ ফ্ল্যাটে আশা করি তোমার কোনও অসুবিধে হবে না, খুব ভালো লাগবে তুমি এলে’ একনিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে এবার রতন একটু থামল।
‘ ভাই সেইজন্যেই তো তোমাকে ফোনটা করলাম, তবে প্রস্তাবটা আমার তরফ থেকে’
‘ তোমার কাছ থেকে প্রস্তাব ? মানে কিছু বুঝলাম না ?
‘ বলছি… বলছি… সব বলছি…’ বলেই হো... হো… করে হেসে উঠল হৃষীকেশ। পরে হাসি থামিয়ে বলল,’ বলছি যে আমি এখন দেশবাড়ি এসেছি, তাই তোমাকে আমার গ্রাম ঘুরে যাওয়ার আমন্ত্রন জানাচ্ছি’
‘ ও এই ব্যপার , তা বেশ তো… ভালোই হবে তোমার সাথে দেখাও হবে আর আমার ঘোরাও হয়ে যাবে’।

হৃষীকেশ, রতনের একসময় খুবই কাছের বন্ধু ছিল। রতন যখন দুর্গাপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়েছিল তখন হৃষীকেশ ওর রুম-পার্টনার ছিল। একসাথে কলেজ যাওয়া, খাওয়া থেকে শুরু করে কলেজ ক্যান্টিনে নিকোটিনের টান, ওরা ধীরে ধীরে একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছিল। চারটে বছর পুরনের শেষ দিন অবদি ওরা একসাথেই ছিল। তারপর ভাগ্যের চাকা ঘুরে একজন এলো কলকাতায় আর একজন গিয়ে পড়ল ধানবাদে। ব্যস্ততার ভিড়ে ওরা হয়ত আর সংযোগে থাকে নি তবে একে অপরের প্রতি ভালবাসা, শ্রদ্ধাটা এক অংশেও কমতে দেয়নি।    

‘ কবে আসছ’?
‘ ভাবছি কালই রওনা দেব কিন্ত তোমার গ্রামের নামটা যে ভুলে গেছি ভাই’
‘ তাতে কি, আমি বলে দিচ্ছি লিখে নাও’

পরদিন সকালে হাতে একটা ছোট্ট ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়ল রতন। ট্যাক্সিতে ওঠার আগে কয়েকটা বিস্কিট আর কেক কিনে নিল, কারণ একে তো ব্রেক-জার্নি করতে হবে তারপর কখন পৌছবে তার কোন ঠিক নেই। সময়মত হাওড়া পৌঁছে বিকেল চারটের কাটোয়া লোকালে উঠে বসল। ট্রেন ছাড়তে পাক্কা আধাঘণ্টা সময় নিল। অ্যারাইভেল টাইমের থেকে অনেকটাই দেরিতে ট্রেনটা চলছে। অবশেষে যখন কাটোয়া জং- এ নামল তখন ঘড়ি সময় দেখাচ্ছে সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা। পৌনে আটটার দিকে মুর্শিদাবাদগামী সবরমতি এক্সপ্রেস এলো। টিটিকে কে জিজ্ঞেস করায় সে আশ্বাস দিল যে এই ট্রেনটি সব স্টেশনেই হল্ট করবে এবং এটাই লাস্ট গাড়ী। অতঃপর ট্রেনে উঠে একটা জানালার ধার দখল করে বসল রতন। যদিওবা রাতের অন্ধকারে বাইরের সবটুকুই কালো দেখাচ্ছে তাও সে এই কনকনে ঠাণ্ডায় জানলার কাঁচ টা খুলে দিল।

এইসবে মাত্র রতন ট্রেন থেকে নামল। মিনিট দুয়েক পর ট্রেনটাও বাঁশি বাজিয়ে চলে গেল।গ্রামের ঠাণ্ডা হাওয়া ওকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। স্টেশনের নামে শুধু একটা সাইন বোর্ড আছে যেখানে হলুদের ওপর কালো কালিতে বড় বড় করে লেখা আছে গঙ্গাটিকুরি। না আছে প্ল্যাটফর্ম না আছে স্টেশনমাস্টারের ঘর। কিচ্ছু নেই। এমনকি একটা আলো পর্যন্ত নেই। কিরে বাবা !! এ কেমন জায়গা। ও এতক্ষণ ব্যপারটা লক্ষ্য করেনি যে ও ছাড়া এ স্টেশনে আর কেউই নামেনি।এমনকি দানহাটিতে জল আনতে ট্রেন থেকে নেমে ও যেকয়টি জানলা খোলা দেখেছিল তার একটিও খোলা ছিল না, ট্রেনটা ছেড়ে যাওয়ার সময় এটা ও লক্ষ্য করেছে। যদিও বা ঠাণ্ডা হাওয়ার কারনেই হয়ত ওরা জানলা লাগিয়ে দিতে পারে। কিন্ত তাও এই ছমছমে স্টেশনে একা এত রাত্তিরে দাঁড়িয়ে ওর গাটাও শিউরে উঠল।

‘ কি হে ! কোথায় যাবে ?
চমকে পিছন ফিরে তাকাল রতন। একটা বেঁটে-খাটো বুড়ো লোক ওর পিছনে দাঁড়িয়ে ছিল। পরনে কাল-সাদা স্যুট প্যান্ট। ‘এ কেরে বাবা !! কখনই বা আমার পিছনে এসে দাঁড়াল’?  
লোকটা নিজে থেকেই বলল, ‘আমি এখানকার স্টেশনমাস্টার। ওই যে ঘরটা দেখতে পাচ্ছ’ কুয়াশায় আবছা দূরে একটা গুমটি ঘরের দিকে আঙ্গুলটা দেখিয়ে বলল, ‘ ওখানেই আমি থাকি’।
‘একটা ট্রেন যে এলো চলেও গেল, আপনি কোথায় ছিলেন’? প্রশ্ন করল রতন।
‘ হে হে……’ দাঁত কেলিয়ে লোকটা বলল, ‘ এখানে তো সব ট্রেন দাঁড়ায় না, সকালে দুটি এক্সপ্রেস আর এই রাতে একটি। তাই আমার থাকা না থাকায় কোন পার্থক্য হয়ে যায় না। আর তাছাড়া বয়স হয়েছে, এই ঠাণ্ডায় শরীরে ক্লান্তি যেন আরও অলস করে দিয়েছে’।
‘ ঠিক আছে, ঠিক আছে। আচ্ছা ! এখানে ঘোষ পাড়াটা কোনদিকে বলতে পারেন’?
‘ এখান থেকে ওই মোরাম রাস্তা ধরে মাইল তিনেক হাঁটা পথ। তা কার বাড়ি যাচ্ছ বাবা’?
‘ হৃষীকেশ ঘোষ এর বাড়ি যার বাবার মাছের আড়ত ছিল, ও আমার বন্ধু’।
‘ আচ্ছা …… তুমি রঘুনাথ এর বাড়ি যাবে তাহলে, যাও যাও ঘুরে এসো’।

রতন ‘ হ্যাঁ যাবই তো, এত দূর থেকে তো ওর সাথেই দেখা করতে এসছি। এমনভাবে যাও যাও বলছে যেন ও না বললে আমি যাবই না...’ মনে মনে ভাবল এবং হাসতে হাসতেই স্টেশনমাস্টারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মোরাম রাস্তায় এসে উঠল। আর তিনিও রতনের হাবভাব বুঝতে না পেরে অতি সন্তর্পণে নিজ গুমটি ঘরের দিকে রওনা দিল।

গঙ্গাটিকুরি স্টেশন থেকে রাস্তাটা একটা বাঁক নিয়ে বামপাশে একটা মাঝারি টাইপের ঝিল ও তারই পাড়ের কাছে গজিয়ে ওঠা একটা মস্ত বড় বটগাছকে পিছনে ফেলে রেখে ডানদিকে আরেকটা বাঁক নিয়ে সোজা চলে গেছে ঘোষ পাড়ার দিকে। মাথার ওপর পূর্ণিমার আলোটা থাকার দরুন হাঁটতে কোন অসুবিধে হচ্ছিল না। কিছুটা পথ এগিয়ে আশার পর রতন হটাৎ থমকে দাঁড়াল, ওর মনে হোল কুয়াশা ভেদ করে কিছু একটা যেন ওর দিকে এগিয়ে আসছে। জিনিসটা আর একটু কাছে আসতেই ও বুঝল একটা মানুষ…… খুব তাড়াতাড়ি হেঁটে ওর দিকেই যেন আসছে। ওর শরীর জুড়ে রক্তের ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে গেল। বুক ঢিপ ঢিপ করতে লাগল। এমনিতে ও বড়ই সাহসী তাও আজ যেন নিজের অজান্তেই ও থেকে থেকে ভয় পাচ্ছে। আবছা লোকটা যখন ওর থেকে দুহাত দূরে তখন রতন একেবারে হাসিতে ফেটে পড়ল। এ যে রিক। হ্যাঁ ঠিকই দেখছে ওর সেই নিকোটিনের সাথী, নিজে না খেলেও যে ওর মুখে খাওয়ার তুলে দিত। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে স্বাস্থ্যটা ভালোই হয়েছে। শরীর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসা গোল ভুঁড়িটা ওর জীবনের স্বাছন্দতা ও মাইনের পরিসংখ্যানটা বুঝিয়ে দিচ্ছে।

‘ কি ভাই, স্টেশনে আমাকে আনতে এলে না যে’? চেঁচিয়ে বলল রতন।
‘ তোমার কাছেই তো আসছিলাম ভাই। চল এবার তাড়াতাড়ি চল দেখি’ রতনের কাছে এসে হাসি মুখেই বলল রিক।
‘ তোমার গ্রামটা বড়ই অদ্ভত ভাই, এরম সুনসান স্টেশন আমি আর একটাও দেখিনি’।
হো… হো… করে হেসে উঠল হৃষীকেশ। বলল, ‘ বটে ! এ গ্রামই যে আমার বড্ড প্রিয় ভাই’।
‘ একগাল দাঁড়ি রেখেছ কেন’? রতন জিজ্ঞেস করল।
‘ কর্পোরেট অফিসে চাকরি করি ভাই, এত চাপের মধ্যে আর নিজের দিকে খেয়ালটা আর রাখতে কোথায় পারছি’ গভীর নিঃশ্বাস ফেলে হৃষীকেশ বলল।
‘ তা বিয়ে করেছ নাকি’?
‘ নাহ্, সে সুখ আর আমার হোল কই’।
রতন কি আরেকটা প্রশ্ন করতেই যাচ্ছিল হৃষীকেশ ওকে থামিয়ে দিয়ে বলল, ‘ সবকিছু রাস্তাতেই জেনে নেবে নাকি? পরে যে আর কথা বলার বিষয়ই থাকবে না।         
‘ আচ্ছা.. বেশ !! চল তাড়াতাড়ি যাওয়া যাক ‘ বলল রতন।

এরপর দুই বন্ধু পায়ের গতি বাড়িয়ে এগোতে লাগলো।
এইভাবে শেষ কবে ওরা একসাথে হেঁটেছিল মনে নেই।
কত বিকেল কত দুপুর ওরা এইভাবেই একসাথে কাটিয়েছে। ওদের  হাসিঠাট্টার বাহার দেখে সবাই হেসে উঠত। কত রাত জাগা আলোচনা আর সমালোচনায় ওরা নিজেদেরকে সরিখ করেছে। সেই আনন্দঘন দিনগুলো মনে করলে আজও চোখ দুটো উল্লাসে ভরে ওঠে।  

মিনিট পাঁচেক কেউই কথা বলল না। অবশেষে রতনই নিস্তব্ধতা ভেঙে হৃশিকেশ কে জিজ্ঞেস করলো,’ আচ্ছা রিক,তোদের ওই স্টেশনমাস্টার এখানে কতবছর হল আছেন ‘?
‘ কে ? মনোহরবাবু…. তা প্রায় আছেন বছর পনেরো-সোলো, হটাৎ ওনার কথা কেনো জিজ্ঞেস করছ ‘?
‘ ভদ্রলোক কেমন যেন… অদ্ভূত’ রতন বলল।

এবার হৃদিকেশ মোরাম রাস্তা ছেড়ে ডানদিকের একটা এবরো খেবরো মাটির রাস্তাটা ধরলো।
রতন জিজ্ঞেস করল, ‘ ভাই এদিকে কোথায় যাচ্ছ? স্টেশনমাস্টার যে বলল মোড়াম রাস্তা ধরে মাইল কয়েক হাঁটলেই তোমার গ্রাম ‘।
‘ মনোহরবাবু ভুল কিছু বলেননি। তবে মোরাম রাস্তাটা অনেক ঘুরে ঘুরে গেছে পৌঁছতে দেরি হবে। কিন্তু এই রাস্তাটা মাঠ বরাবর গেছে তাই কম সময় লাগবে। তোমার কাছে যাতে তাড়াতাড়ি পৌঁছতে পারি তার জন্যে এই রাস্তা দিয়েই তো আসছিলাম ভাই ‘।
‘ তাহলে এই রাস্তাটা ধরেই চল ‘।
‘ তবে সাবধানে এসো কিন্তু, এই কুয়াশায় মাটি অনেক পিছল হোয়ে গেছে। আর মাঠের পাশেও অনেক বিল আছে, একবার পড়লে আর নিস্তার নেই ‘।
‘ বেশ ! বেশ ! তুমিও সাবধানে চল ‘ বলল রতন।

কুয়াশা এড়িয়ে ধীরে ধীরে হাঁটছিলো ওরা। হটাৎ… দূরে কি একটা জিনিস পড়ে থাকতে দেখে ওরা থমকে দাঁড়িয়ে গেল। দেখে তো মনে হচ্ছে সাইকেল বা ওই জাতীয় কিছু পড়ে আছে।

‘ ওটা কি পড়ে আছে ? সাইকেল মত ওটা কি বিলের মধ্যে পড়ে আছে ভাই ? চল তো দেখি..’ বিস্মিত হয়ে বলে চলল রতন।
‘ হ্যাঁ… চল দেখি..’ হৃশিকেশ বলল।

কিছুটা কাছে আসতেই রতন বুঝতে পারল যেটা ও সাইকেল ভেবেছিল ওটা আসলে একটা মোটরবাইক। অবস্থা দেখে তো মনে হচ্ছে প্রচণ্ড গতিতে থাকার দরুন এই মাটির রাস্তায় পিছলে বিলে পড়ে যায়। বাইকের একেবারে দুমড়ে গেছে সামনেরটা। আরো কিছুটা এগিয়ে এসে বাইকের কাছটায় এসে বিলের দিকে তাকাতেই রক্ত হিম হয়ে গেল রতনের। ভয়ে, বিস্ময় এ তার মুখ থেকে একটা রা ও বেরোলো না….

ও কে পড়ে আছে ??? মোটরবাইক স্কিড করে বিলের মধ্যে ঘাড় মোটকে পড়ে আছে… হৃশিকেশ!!!!!!!


       

Comments